কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি অভিজাত হোটেল ও অফিস কমপ্লেক্সে অন্তত একটি বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার এই হামলার পর সেখানকার কর্মীদের প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে দেখা গেছে।
সোমালিয়ার ইসলামপন্থি জঙ্গিদল আল শাবাব ওই হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, এখনও সেখানে হামলা চলছে।
আল শাবাবের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা নাইরোবিতে হামলা চালিয়েছি। অভিযান চলছে।”
পুলিশও একে জঙ্গি হামলা বলে বর্ণনা করেছে।
‘ফোরটিন রিভারসাইড ড্রাইভ কমপ্লেক্সে’ একবার বিশালাকৃতির ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
টুইটারে পোস্ট করা ঘটনাস্থলের একটি ছবিতে মাটিতে মানুষের পায়ের মত দেখতে কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ফায়ারফাইটাররা হোটেল প্রাঙ্গণের প্রবেশ পথে জ্বলতে থাকা তিনটির গাড়ির আগুন নিভিয়েছে।
সেনাবাহিনীর সশস্ত্র দল এবং অন্যান্যা বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা হোটেল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে এবং প্রাণ নিয়ে ছুটতে থাকা হতভম্ব কর্মীদের ঘিরে ধরে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পায়ে গুলিবিদ্ধ এক নারীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রক্তাক্ত আরও তিনজন পুরুষ দৌড়ে বেরিয়ে এসেছেন।
কয়েকজন কর্মী হোটেলের জানালা বেয়ে বেরিয়ে এসেছেন। তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তারা তাদের সহকর্মীদের ভেতরে ফেলে এসেছেন। তারা এখনও নিজ নিজ ডেস্কের নিচে লুকিয়ে আছে।
রয়টার্স জানায়, হামলার মধ্যে একটি ভবন থেকে পুলিশ দৌড়ে বেরিয়ে আসে। ওই সময় এক কর্মকর্তাকে ‘শৌচাগারের ভেতর একটি গ্রেনেড আছে’ বলে চিৎকার করতে শোনা যায়।
কমপ্লেক্সের একটি বিউটি সেলুনের কর্মী জিওফ্রি ওটিয়েনো রয়টার্সকে বলেন, “ভেতরে ছুড়ে মারা হয়েছিল এমন একটি বস্তু আমরা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে শুনতে পাই। তারপরই আমি কাঁচ ভেঙ্গে পড়তে দেখি।
“উদ্ধার পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা লুকিয়ে ছিলাম।”
সোমালিয়ার জঙ্গিদল আল শাবাব প্রায়ই প্রতিবেশী কেনিয়ায় হামলা চালায়।
এর আগে ২০১৩ সালে একটি শপিং সেন্টারে এবং ২০১৫ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করে আল শাবাব।